মোজাক্কির রিফাত

ওয়াকিবহাল

কবিতা
লেখাটি শেয়ার করুন

মোজাক্কির রিফাত।।

 

যুদ্ধাহত এক নাবিক সমুদ্রকিনারে এসে সাঁতার কাটছে অতল জলের দিকে।
এর আগে ছিলো জাহাজের ডেকে প্রেমিকার আহ্বান যার ওড়নার ঘ্রাণ বিশেষ বিষাক্ত।
এরও আগে মাঝরাতে পরিমাপের অযোগ্য অপরিমাপক অভিমান যার কিছু ধার করা সাথে নিয়ে আয়নায় দাঁড়িয়ে অপরিচিত লাগতো নিজেকে নিজের।
সুখ যাকে গণতন্ত্রের মত মিথ বলে জানে মানুষ,
তার সাথে নাবিকের বেপরোয়া পরোয়ানা জারি নেই।
সভ্যতার শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অসভ্য লেগেছে সভ্যের বাড়িতে মাংস খাওয়া কুকুরকেও।
যুদ্ধ আর জয়ের মধ্যকার নিখাদ সম্পর্ক গোলাপ দিয়ে বন্দুকের সাথে বদল করার ভাবনাও ভেবেছে।

কিন্তু যুদ্ধের জন্য বন্দুক, বুলেট আর প্রেমের জন্য গোলাপ অপরিহার্য নয়।
এমনকি প্রেমের প্রতিবন্ধকতাও মধ্যরাঁতের আহ্বানে ওড়নার বিষাক্ত ঘ্রাণেও নেই।
ফুলের ঘ্রাণ আর বুলেটের রজনীতি একরকম স্বাদ আর সাধের মনে হয়েছে দিনকে দিন।

সততার পাশে শুয়ে সঙ্গম সেরে উবে যায় চরমানুভূতির সন্ধান।
নচেৎ আয়নায় যাকে অচেনা লাগে সে অপরাধবোধ নিয়ে ঘুমোতে যায় কেন পাশের মানুষ ও তার অচেনা?
বরং ওসব কিছুই নেই হয়ে যাওয়া এটা একটা গাড়ো অন্ধকারের কৃষ্ণপক্ষের রাঁত।
যেখানে স্রোতের ভীড়ে নেই হয়ে যায় চাক্ষুস করে রাখা পরিচিত প্রেমিকা বা তার চোখ।

বহুদিনপর জানা গিয়েছিলো যুদ্ধ তাকে বাধ্য করেছে যেতে, ইচ্ছে করে যায় নি। শেষ গন্তব্য অজানা।



লেখাটি শেয়ার করুন

One thought on “ওয়াকিবহাল

Leave a Reply