‘বাবা’ শব্দটি হলো নিঃস্বার্থতার প্রতীক
শফিকুল ইসলাম।।
বাবা শব্দটিতে উপলব্ধি হয় ভালোবাসা নিদর্শন ,আদর্শের প্রতীক,নিঃস্বার্থতার প্রতীক,অসম্ভবকে সম্ভব করার অনুপ্রেরণা। বাবা শব্দটি যেমন মধুর, শ্রুতিমধুর তেমনি নিহিত আছে কিছু নিদর্শন -যে নিদর্শনগুলো বাবার প্রতি বৃদ্ধি করে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।
বাবা শব্দটি এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে।বাবা শব্দের সমার্থক শব্দ হলো- পিতা,জনক,আব্বা,জন্মদাতা,পিতৃ,বাপ।পৃথিবীর প্রত্যেকে বাবা চাই তার সন্তানের সফলতা। একজন বাবার এমন প্রত্যাশার আড়ালে লুকিয়ে আছে নিঃস্বার্থ ত্যাগের মহিমা। বাবা মানেই সন্তানের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল।একজন বাবার সুনিপুণ দৃষ্টিগোচরের মাধ্যমে একজন সন্তান অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এবার আশা যাক একজন বাবার কিছু উল্লেখযোগ্য দ্বায়িত্ব বর্ণনায়ঃ
পৃথিবীর সকল বাবারা হলো প্রকৃত যোদ্ধা। নিম্নবিত্ত পরিবারের অধিকাংশ বাবাই হয়ে থাকেন দিনমজুর,রিক্সাচালক,জেলে,কৃষক, কামার- কুমার, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি। যে মানুষগুলো দিনে আনে দিনে খায়- সেই মানুষগুলোর মধ্যে ও নিহিত আছে সন্তানের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। সাধারণত একজন বাবা কখনো চাই না, যেন তার সন্তান দুঃখ কষ্টে জীবনযাপন করে। মাঝেমধ্যে সমাজে কিছু মূহুর্ত দৃষ্টিগোচর হয় যা সভ্য সমাজের মানুষের চোখে জল আসতে বাধ্য।একজন বাবা যখন তার সন্তানের সকল চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে ব্যার্থ হয়, তখন একজন বাবার কষ্টের প্রতিচ্ছবি যাহা বর্ণাযোগ্য নয়। যে মানুষটি নিজের জন্য ভালো বস্ত্র না কিনে সন্তানের জন্য ক্রয় করিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে, সেই মানুষটি হলো একজন বাবা।যে মানুষটি সন্তানের মুখে এক বেলা আহার জুটাইতে মাথার ঘাম পায়ে পেলে অনবদ্য পরিশ্রম করে যায়, সেই মানুষটি হলো একজন বাবা।যে মানুষটি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে অতিক্রম করে, সেই মানুষটি হলো একজন বাবা।বাবা মানেই সন্তানের জন্য এক শ্রেষ্ঠ পাওয়া। যে মানুষটি নিজের সুস্থতার কথা না ভেবে সন্তানের অবিচল পথ চলার প্রয়াস গড়ে তুলে, সেই মানুষটি হলো একজন বাবা। একজন বাবা যদি বিত্তবান হয় – তবুও সর্বদায় চিন্তা করে সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে। প্রত্যেক বাবা চাই তার সন্তান যেন সর্বদায় সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারে।একজন রিকসাচালক বাবা যেমন সন্তানের চাহিদা মেটাতে বা ভবিষ্যত সাফল্যমন্ডিত করতে অনবরত চেষ্টা করে থাকে, তেমনি একজন সমৃদ্ধশালী বাবা ও চাই তার সন্তানের ভবিষ্যতকে সাফল্যমন্ডিত করতে। বাবা মানেই হলো সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ।
মূলকথাঃ প্রত্যেক সন্তানের উচিত বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা বজায় রাখা।প্রত্যেক বাবা যেমন সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালন করে তেমনি সন্তানের উচিত বাবার প্রতি যথেষ্ট দ্বায়িত্ব পালন করা।যে সন্তান তার বাবার প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে অনীহা পোষণ করে – সে কখনো মনুষ্যত্বের অধিকারী হতে পারে না।