সাদা শাল
সাদমান।।
সময়টা ছিল হয়তো বা ডিসেম্বর।
হরিহর লেনের চার নাম্বার গলিতে প্রতি গভীর রাতে দেখা যেতো একটি হাড়গিলে অবয়ব।
যার বোঝা যেতো শুধু গায়ে থাকা কড়কড়ে লাল ছোপে ভরা সাদা শালটা।
সমস্ত দিনের ক্লান্তি ছাড়িয়ে অবয়বটা লেনের শেষ মাথার ৩৭ নম্বর বাড়ির কোণের ঝুপড়িটায় নিজের গা এলিয়ে দিতো,
আর ঝুপড়ির ঠিক বাম পাশটায় ছিল আভিশাপে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া শিমুল গাছটা।
যার গোড়ায় প্রতি সকালে হরীদা পানি দিয়ে তবে হারিয়ে যেতো সেই অতীতের অজানায়।
ফিরে যেতো সেই সকালের শরতের উপন্যাস আর যামিনীর বরাদ্দ করা চায়ের আড্ডায়।
তবে শিমুল গাছটা কখনো আগের মতো সতেজ হয়ে ওঠেনি,
যেমনটি সতেজ ছিল সেদিন,
যেদিন নিরুপমা তার সমস্ত স্বপ্নের জলাঞ্জলি দিয়েছিল খুব সহজ ভাবে।
আর এক সাদা শালই ছিল তার সেদিনের মুক্তির পথ।
তবে, শেষ বার যখন হরীদাকে দেখেছিলাম,
সেই শিমুল গাছের তলায়,
তখন তার মুখে ছিল অতিক্রান্ত অপেক্ষার প্রহরের এক বিজয়ী হাসি।
আর হ্যা, সাদা শালটা তখনও তার গায়েই ছিল।
অন্য এক রূপে।
২ comments
Osadharon
অসাধারন ভাইয়া