দুর্বোধ্য অধ্যায়
শেখ শাহিন,
আগ্রাবাদ।
এক সময় পানিতে কেমন করে ভাসতে হয়- জানতাম না
কৌতূহলের কৈশোর আমার তখন সবে
বর্ষার কিশোরী পানির সাথে মিতালি হতেই কোনো এক দুপুরে-
জেনে যাই ভেসে থাকা। কী যে আনন্দ! তবে মনে নেই কবে।
মাধ্যমিকে গণিতশাস্ত্রে ত্রিকোনোমিতি কঠিন মনে হতো
ভীষণ বিরক্ত হলাম সকলের মাঝে কোনো এক সকালে
প্রতিবেশী বাসু কাকাকে জোর করে নিয়ে এলাম ধরে শিখতে অঙ্ক
বাহ্! কয়েক দিনেই জেনে গেলাম ত্রিকোনোমিতি সূত্র জানালে।
দুরন্ত শৈশবে আমার প্রায় সব বন্ধুরা দৌড়ে উঠতে জানতো নারকেল গাছে
চেষ্টা করতেই সাহস হতো না আমার, যদি পড়ে যাই পাছে
তবুও খুব খুব চেষ্টায়, ভীষণ কষ্টে মিয়াবাড়ির নারিকেল খেতে সবাই মিলে
বুকের ছাল বিসর্জন দিয়ে জেনে যাই ওঠা, আজও স্মৃতি হয়ে আছে।
এই সেদিনও জানাতাম না আমি কম্পিউটারে ছোটোখাটো কাজকর্ম করতে
বিজয়ে সুতোনি এমজে প্রোগ্রামে বাংলা লিখতে নানা প্রয়োজনে-
বড় ভয়ানক কঠিন মনে হয়েছিল গোড়াতে, ধন্যবাদ বেলাল ভাইকে
আজ কিছু জানি ওতে লিখতে, প্রয়োজন হলে নানাক্ষণে।
আমাদের বাড়িতে অতীতে দেশি অশিক্ষিত দু’একটি বেওয়ারিশ কুকুর থাকতো
বলে না দিলেও সামান্য উচ্ছিষ্টের বিনিময়ে দিতো পাহাড়া দিন-রাত
আমাদের ভাষা ওঁরা বুঝতো।
তাদের মধ্যে কালু নামে একটি ছিল-
আমৃত্যু তাঁকে আমি বুঝতাম, জানতাম কালু নীতিবান,
হলেও সে কুকুরের জাত।
আজও দেয়নি বিরতি জানতে অজানাকে যা আছে পাশাপাশি-
ছিল যারা কাছাকাছি আমার মতো দেখতে-
মনে হয় কারো কারো জানি সবকিছু ভেতর বাহির-
পিচ্ছিল সময়ে বিশ্বাস ভাঙে, আহা! একটুও জানিনা তাদের বিষয়ে-
ইচ্ছেটা বেশি ছিল, চেষ্টাও কম নয় এখনও দু’পায়ের দৈত্যদের জানতে,
তারাই থাকে সবচেয়ে কাছে পাশে।
আশ্চর্য! সমস্ত সূত্রই আমার ব্যর্থ গলিত সময়ে,
জানলে কৌশল, পদ্ধতি, সূত্র অথবা অন্য কিছু-
বলবেন আমায়, লুফে নেবো বিনয়ে।