নির্ভানা
অক্ষর প্রবাল।।
দূরে তুমি বাতাস হয়ে ভেসে আছো পৃথিবীতে-
আলো জমিয়ে গড়ে তোলো চন্দ্রনাথ উদ্দীপক।
মর্গে আজকাল উষ্ণতা বিক্রি হয়
যেখানে ক্রেতা হয়ে বসে থাকে ঘুম।
স্বপ্ন তো আমি দেখতে চাই না
তবু বারবার ডাকবাক্স ভরে যায় স্বপ্নে-
যেগুলো জ্বলে থাকে লঞ্চে টাইটানিক ভঙ্গিতে।
মুখের তিল আজ জমে গেছে বরফে
বরং তুমি হেরে হেরে ডুবে গেছো স্মৃতিতে।
কিন্তু আমি তো এখনো চাঁদ দেখি,
চুপ করে বসে থাকি মশাদের বাসরে।
পৃথিবী নির্লজ্জ! ঘুরে ঘুরে খেয়ে চলে সময়-
বোঁটা খসে গেলেও শিউলির খোঁজ রাখে না সে।
ঘাসের নিশ্ছিদ্র মায়ায় আজ ছড়িয়ে দিয়েছি পুরোনো ছবি
তারপরও নতুন করে ইঞ্জিনে লাগে ধোঁয়া।
মুখ খোলা ওয়াইনের বোতলে আজও আমি সুখ লিখি
সুখ লিখতে সাহস লাগে,অনাদরে বাড়িয়েছি তাও।
ইভ,তুমি এই অবেলায় মরে না গিয়ে
অন্তত একটা ছবি আঁকতে পারতে-
আঁধারে ঢেকে যেত ক্ষোভ।
খুচরো প্রেমে লিখতে পারতে অধিকারের তর্জমা।
আজ নৌকার গলুইয়ে সিঁদুরের ছোঁয়া পেলে
অদরকারী কথা ভরে যায় বুকে-
নিঃসঙ্গতা বাসা বাঁধে গাছে।
যে পাখিটা ডিম দিতে গিয়ে মরে গেছে গরমে
আমি তাদেরকে ঈর্ষা করি।
জগতে ঈর্ষান্বিতরায় মহান এবং একচ্ছত্র অধিপতি।
অভিকর্ষজ তরণে আটকে গেছে আবেগ
বাদুরের বিলাপে আজ তার ঘুম ভাঙ্গে না।
বেপরোয়া ঘামে জামার কলারে দুঃখ ভিজে গেলে
কোকিলের কিছু যায় আসে না।
আজ আপেলভর্তি মায়া নিয়ে তোমাকে ছুঁতে চাচ্ছি ইভ!
গন্দম ফল ছেড়ে আমাকে ধরো।
তির্যক রেখা ধরে নেমে আসো বালিতে।
যেখানে বয়ে যাচ্ছে সত্য,এমন শীতার্ত ঋতুতে।
আমাকে তুমি এখন মাছ ভাবতে পারো
কারণ মাছেদের চোখে দুঃখ থাকে না।
ব্যক্তিগত চৌকাঠে উনুন এঁকে দিতে পারো নীরবে।
ক্রমশ আলো ফুরিয়ে আসছে ত্রিভুজে-
তিনচোখ তবু খুলে আছে।
আজ আমি দেখতে চাই কীভাবে হাসতে হাসতে মরে যায় মানুষ!
লুকোচুরি খেলে খেলে কীভাবে লুকিয়ে যায় মাটিতে।
দেয়ালের ফাঁকে হঠাৎ ঝুলে পড়ে আলো-
বন্ধ হয় ঝিঁঝিঁদের সংসারী আলাপ।
তখন খুলে যায় গোলাপের অভিধান-
দৃষ্টিতে ভিজে যায় ইভ।
কাঠবিড়ালির শৈল্পিক রসায়ন আমি পড়ি নি
মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে খুঁজে গেছি ঈশ্বর।
তবু আবর্তন এড়াতে পারি নি।
বিশ্বাস তো মানুষের বুকে বাস করা প্রকান্ড বিড়াল!
One thought on “নির্ভানা”
সুন্দর