মোহাম্মদ নিজাম

সাহিত্যের জন্মই হয়েছে মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে: নিজাম

সাক্ষাৎকার
লেখাটি শেয়ার করুন

দূর্বাঘাস আয়োজিত সাক্ষাৎকারের ৫ম পর্বে আমাদের অতিথি ছিলেন এমফিল গবেষক, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক মুহম্মদ নিজাম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দূর্বাঘাসের সহ-সম্পাদক লিজা। প্রিয় পাঠক, তাহলে আর দেরি কেন? চলুন পড়ে নিই

 

“প্রিয় লেখক। দূর্বাঘাস কর্তৃক আয়োজিত আড্ডায় আপনাকে স্বাগতম। আমি লিজা, দূর্বাঘাসে সহ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি। দূর্বাঘাস সবসময়ই অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্যচর্চাকে সহজ করে তোলার জন্য যা যা সমর্থন অথবা সহায়তা প্রদান করা সম্ভব তা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের আজকের এই আড্ডার আয়োজন, আমরা চাই আড্ডার ছলে আপনার চিন্তা-আদর্শ-দর্শন এসবের সাথে একটু পরিচিত হতে। তো চলুন, সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।

প্রশ্ন: প্রথমেই আপনি কেমন আছেন জানতে চাইবো।
উত্তর: ধন্যবাদ প্রিয় দূর্বাঘাস পরিবারকে, চমৎকার একটা আয়োজনে আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্য। ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। এমফিল গবেষণার থিসিস লেখার পর্ব চলছে আমার, সেই কারণে খুবই ব্যস্তসমস্ত দিন যাচ্ছে। দিনরাত একাডেমিক বই নিয়ে পড়ে থাকা। মাথার ভেতর একশোটা বইয়ের নোটস নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া, তবুও ভালো আছি। এইরকম একটা জীবনই যেহেতু চেয়েছিলাম আমি!

প্রশ্ন: আপনার জন্ম কোথায়?বেড়ে উঠা কোথায় এবং কিভাবে? এ সম্পর্কে আমাদের পাঠকদেরকে যদি জানাতেন
উত্তর: জন্ম হাওরে। হাওর মানে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ কিশোরগঞ্জ বেল্টের একেবারে তলায় যে হাওর সেখানে। বেড়ে উঠাও হাওরেই। হাওরের আদিম ও অকৃত্রিম কৃষক পরিবারের সন্তান আমি। সেইভাবেই বেড়েও উঠেছি। সমস্ত বর্ষায় কারও কোন কাজ থাকে না ওখানে। দিনরাত খেলাধুলা, গল্পের আসর, গানের আসর… নৌযোগে পাড়া বেড়ানো, মাছ ধরা… এইসব করে বেড়াতাম। শুকনো মৌসুমে মাছ ধরা, বাওড়ে গরু চড়ানোর কাজ ছিল আমার। এর বাইরে যেটুকু সময় থাকতো বিশাল গোত্রীয় আবহে আয়োজিত নানা উৎসব, খেলাধুলা, ঘুরাফেরা করে কাটাতাম। বার/চৌদ্দ বছর পর্যন্ত ঐসবই করেছি। স্কুলে যাওয়া হতো মাঝেমধ্যে, তাও শুধু পরীক্ষার আগের দিনগুলিতে। জীবন ছিল আদিম আরণ্যক গল্পের মতো স্নিগ্ধ, সবুজ… তাইরে নাইরে তা…

প্রশ্ন: আপনি একাধারে গল্পকার,ঔপন্যাসিক,
শিক্ষক, গবেষক। কখন, কিভাবে মনে হলো এমন সকল দারূণ দারূণ কাজ করতে পারবেন?
উত্তর: এইগুলো খুব সম্ভবত আমাদের বড় হবার প্রক্রিয়ার সাথেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠে। আমি ঢাকায় আসি প্রথম ২০০৬ সালে। যে আশ্চর্য জীবন পেছনে ফেলে এসেছিলাম, তার সঙ্গে নগরের গীতিময় নান্দনিক অংশগুলোর খুব মিল ছিল। গল্প শোনা ও পড়ার অভ্যাস ততদিনে প্রবলভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নগরে এসে তাই প্রথমেই পুরনো বইয়ের দোকানগুলির সাথে সখ্যতা গড়ে তুললাম। পড়ার টেবিলে ফিকশন ও নন-ফিকশনের তাক উঁচু হচ্ছিল। কলেজে পড়ার সময়েই প্রথম লিখতে পারা, লেখক হওয়ার স্বপ্ন মাথায় চাড়া দিয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই প্রস্তুতিই নিয়েছি। প্রচুর বই পড়া হতো। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলি, আর বেঁচে থাকার জন্যে কিছু একটা করার তাগিদ বলি… সবকিছু ঐ লেখালেখিকে ঘিরে রচিত হতে শুরু করলো। ২০১৩ সালে প্রথম একটা সাহিত্য ম্যাগাজিনে গল্প ছাপা হয়। ২০১৫ সালে আসে প্রথম উপন্যাস ‘ঝড় ও জনৈক চিন্তাবিদ’। তখন আমার মাস্টার্স ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। মাস্টার্স শেষ হবার আগেই গবেষণা এবং শিক্ষকতায় যাওয়ার সিদ্ধান্তগুলিও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন: আচ্ছা,আপনার প্রথম বইটি সম্পর্কে পাঠকদেরকে একটু জানাতেন যদি বইয়ের জনরা, পটভূমি ইত্যাদি?
উত্তর: ঝড় হচ্ছে সমকালীন উপন্যাস। আজ থেকে লক্ষ বছর আগে মানুষ যখন গোত্র জীবন রচনা করে ধর্ম, সমাজ, রাজনীতির ভিত্তিতে নানাবিধ একরোখা ইজমের জন্ম দিচ্ছিল তারই কতগুলি ধারাবাহিক স্তর পেরিয়ে আজকের সভ্যতা নির্মিত হয়েছে। আর এই সভ্যতার অনিবার্য সভ্য হিসেবে কোন প্রশ্ন ছাড়াই কেউ কেউ অতীতের ঘানি টেনে অন্ধের মতো সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অতি সাহসী কেউ কেউ সবকিছু নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দ্বারা যাচাই করার বাসনা থেকে প্রশ্ন উত্থান করছে। পুরনো একতরফা বিশ্বাসের সাথে নতুন দিনের সভ্যদের যে দ্বন্দ্ব তাই হল এই উপন্যাসের ভেতরের পটভূমি। বাইরে থেকে দেখতে গেলে এইটা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ এবং একজন ধর্মযোদ্ধা-খ্যাত দাদাজানের গল্প। এই দুইটা মানুষের হাত ধরে আরও অনেকেই গল্পে এসেছেন।

প্রশ্ন: লিখতে যেয়ে মজার কোনো ঘটনার সম্মিখীন হয়েছেন কি? অথবা বিশেষ কোনো ঘটনার? আমাদের পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করতেন যদি?
উত্তর: লেখালেখি যেহেতু এক ধরণের আনন্দযাত্রা, সেটা যেভাবেই হোক, মজার ঘটনা ভেতরে বাইরে প্রতিনিয়তই ঘটে। কিছুদিন আগেই বইমেলা শেষ হলো। এই মেলায় অদ্ভুত কিছু ঘটনা আমাকে বেশ আপ্লুত করেছে। করোনার কারণে ২০২১ মেলায় আমরা তেমনভাবে যেতে পারি নি। মেলাও সেইভাবে জমেনি। অথচ পাঠক ঠিকই ঘরে বসে নানা অনলাইন গ্রাউন্ড থেকে বই সংগ্রহ করেছেন। অনেক দূর দূরান্তের জেলা থেকে মেলায় অনেকেই পঠিত বই (অধিকাংশই অগ্নিমঙ্গল) হাতে করে নিয়ে মেলায় এসেছে। লেখকের অটোগ্রাফ নেবেন। বাহ্যত এইগুলা হয়তো খুব একটা দাগ কাটার মতো ঘটনা নয়। কিন্তু ভেতর থেকে আমাকে এই ঘটনাগুলি উদ্দীপিত করে। করেছে। নিজের বোধ এবং চিন্তাকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার একটা সুপ্ত বাসনা ত আমাদের সবার মধ্যেই থাকে। পঠিত বই হাতে নিয়ে শুধু মুগ্ধতার দরুন যখন অনেক অনেক মানুষ লেখকের সাথে দেখা করতে আসে, বাকিসব ছাপিয়ে এই ঘটনাগুলো বিশেষ স্মরণীয় এবং আদরণীয় স্মৃতি হিসেবেই স্মৃতিকোষে জায়গা করে নিতে থাকে। একজন উনিশ সালে একটা বই নিয়েছিল,(কবি ও কঙ্কাবতী) সে সুদূর খুলনা থেকে তিনবার এই বইটা হাতে নিয়ে মেলায় এসেছে। প্রথম দুইবার লেখকের দেখা পায়নি। তৃতীয় এসে পেয়েছে। একেকটা বই নিয়ে পাঠকের যে উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসা, এইসব সত্যিই বড় মুগ্ধ করে। লেখালেখির পেছনে আয়ু ক্ষয় করতে আসার সিদ্ধান্তগুলিকে খুব বেশি অর্থবহ করে তুলে।

প্রশ্ন: আমরা ইতো মধ্যে জানতে পেরেছি আপনি একজন লিপি লেখক। লিপি লিখে মিডিয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: সিনেমায় এখনও আমার পরিচয় আসলে শিক্ষানবিশ চলচ্চিত্রকার। সেখার নিমিত্তেই যাওয়া হয়েছিল, এখনও শিখছি। এই সূত্র ধরেই কিছুদিন সহকারী পরিচালক, কিছুকাল স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে ধরাবাঁধা কিছু কাজও করেছি। ঐটা অন্য একটা দুনিয়া। বাইরে থেকে যতখানি রঙিন দেখায়, ভেতরে ঠিক ততখানিই বিবর্ণ। প্রতিষ্ঠিত আর্টিস্টের চাইতে স্ট্রাগলিং আর্টিস্ট থাউজ্যান্ড টাইমস বেশি। খুব কাছ থেকে ওদের সংগ্রামী জীবন দেখেছি, দেখছি। নিজেও শিখছি। বেঁচে থাকার কায়দাকানুন। শিল্পেরও। আশাকরি এইসব অভিজ্ঞতার হাত ধরে চলতে চলতে একদিন আমিও নিজের মতো করে কিছু কাজ করে যেতে পারব। আশাকরি।

প্রশ্ন: আপনার পছন্দের লিপিলেখক কে কার লেখা আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে বলে মনে করেন?
উত্তর: আমি আসলে পেশাদার লিপিলেখক কখনও হতে চাইনি, সেভাবে কাজও করিনি। তবে নিজের জন্য লিখব। ভাবনার প্রস্তুতি চলছে। সেই প্রস্তুতি আমার গল্প এবং উপন্যাসের সুরের সাথে মিলিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। পছন্দের চিত্রনাট্যকারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলবো, আলমগীর কবির এবং তারেক মাসুদের কথা। এছাড়া ঋতুপর্ণা ঘোষ, সত্যজিৎ রায় অতি পছন্দের দুই লেখক ও নির্মাতা।

প্রশ্ন: আজ থেকে পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
উত্তর: পাঁচ বছর পরে যেখানে নিজেকে দেখার কথা, বিস্ময়কর হলেও সত্য নিজেকে এখন সেই জায়গাতেই দেখতে পাচ্ছি। লেখার জগতে প্রবেশের পূর্বে কিছু স্বপ্ন এবং কর্ম তালিকা অবশ্যই ছিল, সেই সাথে মানুষের কাছে পৌছানোরও একটা ব্যাপার যুক্ত ছিল। এই অল্প কয়দিনের লেখালেখিতে যেভাবে দুহাত ভরে লিখেছি আর এপারও ও ওপার বাংলার পাঠকের ভালোবাসায় অভিসিক্ত হয়েছে, এইটা আসল কল্পনারও বাইরে ছিল৷ মানুষের এই গ্রহণযোগ্যতা কাকে কীভাবে আন্দোলিত করে জানি না, তবে আমাকে খুব শান্ত করে দিয়েছে। একটা মহাকাব্যের কথা আমি প্রায়ই বলি, অবশ্যই গদ্যে, জীবনের সেরা লেখাটা, আমি নিজে অন্তত সেইভাবেই ভাবছি… আজ থেকে পাঁচ বছর পর ঐ লেখাটাতেই নিজেকে ডুবে থাকতে দেখতে চাই। লম্বা একটা সময় নিয়ে শ্রেষ্ঠতম একটা কাজ আমি করে যেতে চাই।

প্রশ্ন: মনুষ্যত্বের বিকাশের ক্ষেত্রে সাহিত্য কতটুকু ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন?
উত্তর: সাহিত্যের জন্মই হয়েছে মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে। বিভিন্ন তল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বিভিন্ন চিন্তা ধারার মানুষকে দেখার সুযোগ করে দেয় সাহিত্য। এর ফলে একজন পাঠক নিজেকে রচনা করার আগে অজস্র জীবনকে নানামাত্রায় দেখার সুযোগ পায়। এই সুযোগটা মহান সাহিত্যিকরা সচেতনভাবেই সাহিত্যের মধ্যে জুড়ে দেন। এর একটা প্রভাব কিন্তু পাঠকের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। বোধের জগত বিস্তৃত হয়। এমপ্যাথি গ্রো করে। সুতরাং মনুষ্যত্ব বিকাশে সাহিত্য বলিষ্ঠভাবেই ভূমিকা রাখে বলে আমি মনে করে থাকি।

প্রশ্ন: লেখালেখির ক্ষেত্র কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেন?পাঠক চাহিদা নাকি নিজের চিন্তা?
উত্তর: পাঠকের চাহিদা বরাবরই গৌণ্য। লেখার জগতে আসার পেছনে প্রধানতম প্রণোদনা হিসেবে কখনোই পাঠকের মনোরঞ্জনের মতো কোন বিষয় ছিল না। ছিল নিজের বোধ এবং চিন্তাগুলিকে লিপিবদ্ধ করে যাওয়ার একটা বাসনা। আর এই চিন্তা যেহেতু মানুষ এবং মানব সভ্যতাকে ঘিরে… অতএব মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেবার একটা তাগিদ অবশ্যই রয়েছে। আমি বরাবরই চাই, আমার চিন্তা বা লেখার উপর পাঠকের চাহিদা তৈরি হোক। চাহিদার স্রোতে নিজে যেন ভেসে না যাই। একজন লেখক হিসেবে এইটাই আমার প্রধানতম শক্তির জায়গা, খুব সম্ভব।

প্রশ্ন: আচ্ছা,বই প্রকাশ করতে যেয়ে আপনাকে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে কি?
উত্তর: এই দেশে অধিকাংশ নতুন লেখকের ক্ষেত্রে বই প্রথম বই প্রকাশ, যদি তার ব্যক্তিগত প্রভাব বা প্রতিষ্ঠা বা কোন ধরণে খ্যাতি পেছনে না থাকে, বিড়ম্বনা দিয়েই শুরু হয়। তের সালে প্রথম ‘ঝড় ও জনৈক চিন্তাবিদ’ এর পাণ্ডুলিপি নিয়ে বাংলাবাজার গিয়েছিলাম আমি। বিখ্যাত অখ্যাত অনেকগুলি প্রকাশনিতে গিয়ে আমি পাণ্ডুলিপি জমা দেবার চেষ্টা করেছি। প্রকাশ ত দূরের কথা, কেউ ছুঁয়েও দেখেনি। আমার একটা বন্ধু ছিল সঙ্গে। সে এত বেশি হতাশ হয়ে পড়ে, অর্ধেক দিন ঘুরেই ওকে ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেই আমি। এরপর একা আমি ঝড়ের পাণ্ডুলিপি নিয়ে আরও কিছু প্রকাশনিতে যাই। রেজাল্ট একই, ছাপবে না। ছাপতে হলে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে। আমি হতাশ হয়েছিলাম কিছুটা, শিক্ষাও নিয়েছিলাম অনেকখানি। এরপর দুই বছর সময় নিয়ে বেশ আয়োজন করেই বাংলাবাজারে যাই। হ্যাঁ, প্রথম বইটা প্রকাশের খরচ আমিই দিয়েছিলাম। প্রথম বই প্রকাশ উপলক্ষে বন্ধুরা মিলে প্রচুর আনন্দ স্ফুর্তির মাধ্যমে প্রচারণাও নেমেছিলাম। যাত্রাটা আসলে এইভাবেই শুরু হয়েছিল। আর এক কালে যারা ফিরিয়ে দিয়েছিল, তাদের অনেকেই এডভান্স টাকা সেধে বই চাইছে এখন। কাউকে ছোট করার জন্যে এইসব বলছি না, আমি শুধু নিজের দিকে তাকিয়ে বলি… চলার পথে এইসব বাঁধা বিড়ম্বনা আসে, অনিবার্য এইগুলা। তবে কাজের প্রতি দরদ, ভালোবাসা আর সততা থাকলে, সকল কষ্টের গল্প একদিন বিজয়ের অর্কেস্ট্রা হিসেবেই ফেরত আসে। লেগে থাকতে হয়। প্যাশন থাকতে হয়।

প্রশ্ন: আমরা আড্ডার একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।শেষ করার আগে আমরা আপনার মুখ থেকে দূর্বাঘাস এবং দূর্বাঘাসের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দু-একটা কথা শুনতে চাইবো
উত্তর: জীবনের নানামূখী আয়োজনের মধ্যে সাহিত্য হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম এক আয়োজন। দূর্বাঘাস সাহিত্যের কথা বলে। জীবন ও সাহিত্যের গভীরে প্রবাহমান শাশ্বত সৌন্দর্যকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেবার দারুণ প্রত্যয় নিয়ে দূর্বাঘাসের অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা যতখানি আরাধ্য ততখানি যুগোপযোগী। দূর্বাঘাসের এই নান্দনিক প্রয়াস অব্যাহ থাকুক। মানুষ ভালোবাসায় সিক্ত হোক অবিরাম। ভালোবাসা।

লিজা: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার মূল্যবান সময় থেকে আমাদেরকে কিছুটা সময় ধার দেওয়ার জন্য।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবার হয়তো দেখা হবে অন্য কোনো আড্ডায়..ততদিন পর্যন্ত বিদায়..

নিজাম: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনাদের জন্যেও।”


কবি ও লেখক রাকিব হাসানের সাক্ষাৎকার পড়ুন


লেখাটি শেয়ার করুন

Leave a Reply